সমান্তরাল মহাবিশ্ব সম্পর্কেঃ-
আমাদের আজকের বিষয়,
আপনার হয়তো মনে হতে পারে আপনি জন্ম নিয়েছেন এই পৃথিবীর বুকে বিচরন করিতেছেন একসময় এখানেই মারা যাবেন সকল কিছু এখানেই ইতি। তা কিন্তু নয়! আপনি জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার একটি দুটি নয় সর্বমোট ১১টি সত্তার আর্বিভাব ঘটে, আপনি হয়তো ভাবতে পারেন জন্ম হতে মৃত্যু অব্দি এই গ্রহেই বিচরন করছেন, বাস্তবিক পক্ষ্যে আপনি হয়তো এই গ্রহে জন্মই নেননি। কারন আমরা প্রতিনিয়ত এগারোটি সমান্তরাল গ্রহে যা এগারটি সৌরমন্ডলে অবস্থিত পরিভ্রমন করে চলেছি। বাবা বলেন অনেক সময় দূর্ঘটনা জনিত কারনে আমাদের মৃত্যুবরন হলেও যখন আমাদের নশ্বর দেহ এই গ্রহে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তখনো আমরা আমাদের পূন্যজীবনীকাল পর্যন্ত গ্রহে পরিভ্রমন করি। আমাদের ইতি পূর্বের আলোচনায় এসম্পর্কিত সামান্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। গ্রহ ভিত্তিক আমাদের নশ্বর দেহ স্থীর। স্মৃতি, মেধা, মন উপলদ্ধি এ বিষয়গুলো দেহের সাথে জড়িত, কিন্তু আমাদের অবিনশ্বর আত্না এসকল থেকে মুক্ত, অকাল্পনিক গতিশক্তির অধিকারী ও শৃঙ্খলিত স্বাদ্ধীনতায় আবর্তীত। বিজ্ঞান বলে স্থীর দেহে অর্থাৎ ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষের মস্তিস্ক অধিক সচল থাকে, এর কারন যখন আমাদের আত্না শরীর থেকে মুক্ত হয়ে অন্য কোন আমিতে প্রবেশ করে, আর সেই আমি এই আমির চাইতে অধিক বুদ্ধি সম্পন্ন্য হয় তবে আমার মস্তিষ্কের ক্রিয়া সচল থাকায় স্বাভাবিক। এখানে আমার প্রতিটি কাজের জন্য কায়িক পরিশ্রম বাধ্যতামূলক হলেও অন্য কোথাও আমার মস্তিষ্কের অধিকাংশ শক্তি ব্যবহৃত হয়। এখানে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে কালের আবর্তনে পরিক্রমনরত সমান্তরাল অন্তত্য দুটি জগৎ যদি কখনো মুখো মুখি হয় তবে আমাদের অস্তিত্য কিরুপে বিদ্যমান থাকবে? কারন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এখন যেমন দুপাশের জগৎটাই অভিন্ন তেমনি সে সময় আমরা সমস্ত কিছু অভিন্ন অবস্থানে থেকেও ক্রিয়া ও কল্পনার বাস্তবায়ন দেখবো। অর্থাৎ ধরুন আপনি একটি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হয়তো ভাবছেন আমার যদি দুটি ডানা থাকতো তবে আমাকে কষ্ট করে হাটতে হতো না, পাখির মতো সারাক্ষন উড়ে বেড়াতাম এবং এই বিষয়টি আয়নায় প্রতিফলিত হবে। আপনার বাস্তব জিবন ও কল্পনার জগৎ দুটি হবে সামনা সামনি। যদিও এমনটি হওয়ার সম্ভনা কোটি বছরেও নেই। তবুও এমনটাই হচ্ছে তবে আমরা উপলব্ধি শক্তির সল্পতার কারনে তা বুঝতে অক্ষম। আমরা অচিরেই এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সম্ভবতা আপনাদের সামনে তুলে ধরার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।