কি ভাবে আমাদের প্রার্থনা কবুল হবে-
আমরা জানি বিভিন্ন ধর্মমত অনুসারে আমরা একএক ধর্মের লোক স্রষ্টাকে একএক নামে ডাকি।কিন্তু প্রাকৃতপক্ষ্যে সবাই আমরা এক স্রষ্টার কাছেই আরাধনা করি।সে বিষয়ের উপরেই আজকের আলোচনা। এবার হতে আপনারা কেউ স্রষ্টার কাছে কোন প্রার্থনা জানিয়ে বা আরাধনা পেশ করে নিরাশ হবেন না। আজ থেকে প্রতিটি প্রার্থনা অবশ্যই কবুল হবে। স্রষ্টার সাথে আমাদের যে সম্পর্ক্য হবে সেটা হবে ভালোবাসার, শ্রদ্ধার, আত্বিক, খাদহীন, আর স্রষ্টাও তার সৃষ্টিকে অবশ্যই ভালোবাসবে এবং সে ভালোবাসাটা হবে নিগুড় ভালোবাসা। তো প্রথমেই আমাদের জানা উচিৎ কিভাবে আরাধনা করলে সৃষ্টি কর্তা কখনই আমাদের বিমুখ করবে না। এ জন্য আমদের কিছু সর্ত মানতে হবে।সর্তগুলো হচ্ছেঃ ধর্মমত অনুসারে আমরা জানি শরীর পাক, হৃদয় পাক, অন্তরের বিশ্বাষ অবশ্যই জরুরী। তবে এখানে আমি একটা কথা বলতে চাই, সেটি হচ্ছে শরীর পাক- এ বিষয়টি জরুরী নয়। কারন বান্দা যেকোন মুহুর্তেই স্রষ্টাকে ডাকতে পারে। আমার কোলের সন্তান যদি কাদা মাটি বা নোংরা কিছু শরিরে মেখে আমার দিকে ছুটে আসে তাহলে কি আমি তাকে কোলে নিবো না নাকি লাথি মেরে তাকে ফেলে দিবো? সেটা কখনই হয়না। এতএব স্রষ্টাকে আমি যখনই ডাকি যে অবস্থাতেই ডাকি না কেন তিনি আমার ডাকে সাড়া দিবেই। তবে এখানে কিছু শর্ত আছে, যা আমাদের মানতে হবে আমি যদি স্রষ্টার কথা মানি স্রষ্টাও আমার কথা মানবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সর্তগুলো কি ?
সর্তঃ-
>> প্রথম সর্ত হচ্ছে হারাম খাওয়া যাবে না-
বর্তমান সময়ে আমরা দেখি “সুদ আর ঘুষ” এই দুইটা জিনিস এমন এক পর্যায়ে চলে এসেছে। যা আমাদের চলমান জীবনের সঙ্গি হয়ে গেছে। বর্তমান সমাজে আমরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এই জঘন্য গরহিত কাজটিকে হালাল করার চ্ষ্টো করি, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যেটা হারাম সেটা হারামেই। আমরা যদি টয়লেটের পায়খানা সুন্দর করে একটা প্লেটে সাজিয়ে তার উপর কেকের পেষ্ট লাগিয়ে কোন ব্যক্তির নিকট উপস্থাপন করি তাহলে কি সে টা কোন মান সম্মত খাবার হবে? ঠিক তেমনি ভাবে ধর্মের নামে ব্যাংক খুলে সেখানে হালাল টাকা রাখি আর আমরা সুদের পরিবর্তে নাম দিয়েছি মুয়াজ্জাল, মুরাবাহ, ইসতিসনা, মুদারাবা, মুশারাকা ইত্যাদি যার গভিরে দেখলেই বোধগম্য হয় উপরে এক ভিতরে এক। তা হালাল বলে চালিয়ে দেই। কিন্তু আমরা জানি সুদ সুদেই এটা খাওয়া ব্যবহার চলবে না।বর্তমান সময়ে একটা প্রথা বহুল প্রচলিত আছে সমিতি বা ইন্জিও। এগুলো থেকে আমরা টাকা নিয়ে থাকি বিনিময়ে আমাদের সুদ দিতে হয়।যেহুতু সব খানেই আমরা দেখেছি যে, সুদ দেওয়া বা সুদ খাওয়া দুটোয় সমান তাহলে এগুলো কখনই চলবে না।
পৃথিবীতে এমন কোন ধর্ম নেই যেখানে বলা আছে সুদ ও ঘুস খাওয়া বা দেওয়া যাবে। যেহুতু এটি একটি ধর্ম বিরোধী কাজ তাহলে অবশ্যই এ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
অনেক বড় একটি সমস্যা যৌতুক প্রথা, আমাদের দেশের আলেম, ওলামা, দাড়ি, টুপি ওয়ালারা প্রায়শই বলে থাকে যৌতুক নেয়া বা দেয়া যাবে না, কিন্তু কঠিন দুক্ষের বিষয় ব্যক্তিগত জীবনে যত আলেম ওলামা দাড়ি টুপি ওয়ালা দেখলাম কাউকে যৌতুক ছাড়া বিয়ে করতে দেখলাম না, তবে এর উল্টোটা মাঝে মাঝে চোখে পড়ে তা হলো যারা ধার্মিক না তারাই কিন্তু অনেকেই যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করছে। অবশ্যই এখানেও ওই একটি বিষয় রয়েছে যেমন ধার্মিকরা যৌতুক নেয় না অনেকেই তাদেরকে আবার খুশি করে দিতে হয়। আমি বলবো সেই সকল মানুষদের যতদিন সেই মেয়ে আপনার বাড়ীতে থাকবে তার সন্তান সন্ততী আপনার ওয়ারিস হয়ে থাকবে ততদীন পর্যন্ত আপনার পরিবারের কাহারো কোনোদিন নেক মাকসুদ উপর ওয়ালার তরফ হতে পূর্ন হবে না, কারন আপনি একটি পাপের বৃক্ষ রোপন করেছেন, যা পাপে জারিয়া হয়ে আপনার রক্তে মিশে গেছে।