পৃথিবীতে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ৪৯০ টি ধর্মের আগমন ঘটেছে। বর্তমান সময়েও প্রায় ৯৯ টি ধর্ম চলমান। ৪ থেকে ৯ টি বৃহৎ ধর্ম সরব ভাবে সকলেরই জানা রয়েছে। এই ৯৯ টি ধর্মের রয়েছে ৯৯ টি ধর্ম গ্রন্থ ধর্মগুরু ভিন্ন ভিন্ন স্রষ্টা। আমাদের অনুসন্ধানী বিজ্ঞান বলে, বর্তমানে চলমান ধর্মগুলোর আগমন কয়েক হাজার বছর মাত্র। কিন্তু এই ধর্ম বিশ্বাস বা স্রষ্টার ধারনা অনাদিকাল থেকেই মানুষের মাঝে চলে আসছে। একটি সময় ছিলো যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলো যেভাবে আসতো মানুষ সে দিকেই স্রষ্টার অবস্থান ধরে নিত, যার ফলে ইতিহাসে পাওয়া যায় যেখানে মাটির নিচ থেকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বেশি দেখা দিত, যেমন বন্যা, জলোচ্ছাস, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি। এসব এলাকার জনসাধারন ধরে নিত স্রষ্টার অবস্থান মাটির নিচে। বিধায় তাদের প্রার্থনার ধরনটি ছিলো নিম্নমুখি। আবার যেসকল অঞ্চলের প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলো আকাশ থেকে পড়ে যেমন ঝড়, প্রবল বর্ষন, শিলা বৃষ্টি, বজ্রপাত ইত্যাদি। সে সকল এলাকার জনসাধারন ধরে নিত স্রষ্টার অবস্থান আকাশে। বিধায় তাদের প্রার্থনার ধরন গুলি ছিলো ঊর্ধ মুখি। কিন্তু বাস্তবিকে মানুষের মনে স্রষ্টা ধারনার জন্ম হয় ভিন্ন কারনে, আমাদের আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ-
”স্রষ্টা ধারনার উৎপত্তি সম্পর্কে”
আমরা সকলেই জানি সভ্যতার শুরু মিশর হতে এবং ধর্মের গোড়া পত্তনও এখান থেকেই। প্রাচীন মিশর’ই সেই স্থান যেখানে আমাদের প্রভূগন তেনাদের প্রথম অবতরন ও এখান থেকেই বিভিন্ন গবেষনা করতেন। মিশরের যে পিরামিডগুলো রয়েছে তা কিন্তু সেই উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরী হয়নি যা আমরা সকলেই জানি। মূলত শুধু মিশরেই নয় পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আকৃতির উচ্চতার পিরামিড রয়েছে। আমরা যেমন উড়োজাহাজ হেলিকাপ্টার ইত্যাদি অবতরনের সুবির্ধাথে হেলিপেড এয়ারপোর্ট ইত্যাদি স্থানে এমন কিছু চিহ্ন ব্যবহার করি যা অনেক উচু থেকেও আমরো দেখতে পাই। আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা মিশরে অবস্থিত ৭ টি পিরামিডের চূড়া এমন এক জ্যামিতিক অক্ষে রয়েছে যা মহাশূন্যের একটি নির্দিষ্ট স্থান হতে দেখলে মনে হবে তা একটি বিন্দুতে মিলেছে। বাস্তবিকে পিরামিড তৈরির উদ্দেশ্য ছিলো তাদের মহাশূন্যযান পৃথিবীর নির্দিষ্ট স্থানে অবতরন করা। আমরা জানি পৃথিবীতে বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয়েছিল। সেসময় বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী সেসকল মহাশূন্যযানে করে আমাদের প্রভূগন পৃথিবীতে নিয়ে আসতো। আমাদের টিকিয়ে রাখতে তারা সকল প্রকার সাহায্য দিয়েছিলো। ইতিপূর্বে তেনাদের উদ্দেশ্য ও অবস্থান সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। অতি বুদ্ধিমান ও উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী আমাদের প্রভূগনের বার বার মহাকাশযানে মহাশূন্যে যাতায়াত সেসময়ের মানব গোষ্ঠীর অন্তরে স্রষ্টা ধারনা উদ্ভব ঘটায়।
ধ্বংসপ্রাপ্ত জরার্জীন্য পৃথিবীর ক্ষুধার্থ মূর্খ মানব গোষ্ঠীর জন্য বার বার ত্রান সামগ্রী উন্নত খাবার সরবারহ করায় মানবের নিকট আমাদের প্রেরিত প্রভূগন স্রষ্টা হিসেবে আমাদের অন্তরে স্থান পায়। যে কারনেই আমাদের মাঝে উপরের দিকে তাকিয়ে বা হাত তুলে স্রষ্টার নিকট সাহায্য প্রার্থনার রিতি শুরু হয়। পরবর্তিতে কালের বিবর্তনে মানুষের উন্নতি সাধন হয় এবং পিরামিডকে মৃতদেহ সংরক্ষনের স্থান করে নেয়। তারপরেও পিরামিডের দেয়ালে দেয়ালে অংকিত বিভিন্ন আদি চিত্রে আমাদের প্রভূগনের চিত্র দেখতে পাই।