আমাদের আজকের বিষয়টি অত্যান্ত গরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা হাজার বছরের পূরনো ও বর্তমান সময়ের অধিক আলোচিত ও সমালোচিত সেই সাথে ব্যপক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুও বটে। । যেখানে বিজ্ঞান, বিভিন্ন ধর্মিয় গুরুগণ বিভিন্ন মত ও নিত্য নতুন থিউরি উপস্থাপন করেছেন, যা কোনোটি’ই সকলের নিকট সমাদৃত নয়। বিধায় এ বিষয় মতপার্থক্য রয়েই গেছে আমাদের মাঝে। যাই হোক আজ আমাদের সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর হতে সম্পূর্ণরুপে পর্দা সারাতে আমাদের গুরু সুফি সাধক আফতাব বাবার বানী আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
“আমরা মানব জাতি কোথা হতে এসেছি”
বিভিন্ন ধর্মের মতানুসারে মানুষ ইভ আদম বা আদম হাওয়া বা মনু হতে পৃথিবীর বুকে আগমন ঘটে ! অর্থ্যাৎ দুইজন মানুষ হতেই বিশ্বচরাচরে সমস্ত মানবের সৃষ্টি। বিজ্ঞানের মতে মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীর মুখ দেখেছে। কিন্তু আপনি যে মতটি’ই গ্রহন করুন না কেনো আপনার মতের সাথে কি আপনার মন সর্ম্পূন সেটিসফাইড ?? এবার একটু ভিতরে প্রবেশ করুন- আমেরিকা, আফ্রিকা, চায়না, কোরিয়া আরব ইত্যাদি দেশের মানুষগুলোর দিকে একটু চোখ বন্ধ করে অবলোকন করুন, কেউ কালো কেউ সাদা কেউ খাটো কেউ লম্বা আবার আমাদের এশিয়া মহাদেশের মানুষের মাঝে কোনো নির্দিষ্ট ধরন বা গড়ন’ই নেই, মিশ্র কি কারনে এমন? কেনো এখনো এ্যমাজান, আফ্রিকা জঙ্গলের মত ঘহিন অরন্য বা বিভিন্ন দিপপূঞ্চে এখনো অনাবিষ্কৃত মানুষ নিত্য নতুন ভাবে আবিষ্কৃত হয়েই চলেছে, যাদের নিকট এখন অব্দি আধুনিকতার র্স্পশ্য পৌছাঁয়নি। কেনো ?
বাবা বলেন মানুষ পৃথিবীর কোনো প্রানী’ই নয়, আমাদের আদি ভুমি হাওয়ায়েন নামক গ্রহ, সেখানে তাদের প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বর্তমান বিজ্ঞানের চাইতে ১ হাজার গুন উন্নত ও সমৃদ্ধ। কয়েক হাজার বছর পূর্বে তারা এই পৃথিবী নামক গ্রহ আবিষ্কার করে, এবং এখানে প্রানের বিচরন ও উন্নয়ন সম্ভব কি না সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য মানুষ নামক দাষকে কয়েক জোড়া করে পৃথিবী পৃষ্ঠে ছেড়ে যায়, এবং কোনো এক স্থানে নয়, এক জোড়া নয়, গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে আমাদের জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে যায়। যা পরবর্তীতে প্রজনন প্রকৃয়ার মাধ্যমে ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পায়, তবে যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ কিছুটা অনুকুল সে সকল স্থানে এই মানুষ প্রানীর অস্বাভাবিক ভাবে বিস্তার লাভ করে কিন্তু যে সকল স্থানে প্রাকৃতিক পরিবেশ বন্ধুর সে সকল স্থানে জন্ম মৃত্যু প্রায় সমমানের। আমাদের এই পৃথিবীতে ছাড়ার কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত আমাদের সকল বিষয় তদারকি করার জন্য তারা এই গ্রহে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতো কিন্তু সময়ের পরিক্রমে এবং সৌর মন্ডলের ক্রমবর্ধমান গতির কারনে আমাদের মাতৃগ্রহ আমাদের এই গ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ হীন হয়ে পরে। কিন্তু সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে আবারও আমরা আমাদের সেই মাতৃগ্রহের সাথে যোগাযোগ করতে বা আমাদের প্রভুদের সাক্ষাত পাবো কিন্তু তাদের দেখতে পাবো না। এর পিছনে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে, যা পরবর্তী আলোচনার উপস্থাপন করা হবে।