জ্বিন বা ভুত কি?
বিষয়টি মোটেও নতুন নয়। মানব জনমের পর হতে যখন থেকে উপলব্ধি করা শিখেছে হয়তো সে সময় হতেই অশরীরির সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। বর্তমান সময়ে অনেকেই বিষয়টি কাল্পনিক বা অবিশ্বাষ করে। একটি প্রবাদ আমরা শুনেছি,
“কিছু মানুষকে সকল সময়ের জন্য, সকল মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানানো যায়, সকল মানুষকে সকল সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় না”
অর্থ্যাৎ মিথ্যা কখনই স্থায়ী হয় না। সুতারাং যে বিষয়টি সৃষ্টির সূচনা লগ্ন হতে আমাদের মাঝে প্রতিষ্ঠিত তা কখনই মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক হতে পারে না। বিভিন্ন ধর্মে যাকে জ্বীন, ভূত, প্রেত ইত্যাদি নামে অবহিত করা হয়েছে। তাহলে আসলে সেটি কি? আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবনী শুনলে প্রায় সকলেই জ্বিন সম্পর্কিত কোন না কোন ঘটনা জানতে পারবোই। আজ তাহলে জানবো, আসলেই জ্বিন, ভূত বা প্রেত কি?
আধুনিক বিজ্ঞানে এটি প্রমানীত যে, পৃথিবীতে বিভিন্ন সময় এলিয়ানদের আগমন ঘটেছিল।বর্তমান সময়েও আমাদের মাঝে এলিয়ানদের বিচরন রয়েছে। এসম্পর্কিত হাজারও তথ্য আর্ন্তজালে আপনি পাবেন। পৃথিবীর মানুষ পঞ্চভূতে সৃষ্টি, বিধায় আমাদের সাধারন চোখ শুধুমাত্র পঞ্চভূতের সকল সৃষ্টিই দেখতে পায়।
যে সকল প্রানী বা প্রান পঞ্চভূতে সৃষ্ট নয় তা আমাদের চোখ দেখেনা। নভমন্ডলের হাজারো গ্রহে যে সকল প্রান পঞ্চভূতে সৃষ্ট নয় তাদের আমরা দেখতে পাইনা। এমন কি কিছু গ্রহ উপগ্রহ আছে যা আমাদের দৃষ্টি শক্তির বাইরে, আমাদের মাঝে বিচরনরত সেই সকল এলিয়ানদেরও আমরা দেখতে পাইনা। কিছু কিছু এলিয়ানের প্রযুক্তিগত উৎকর্সের কারনে তারা কখনো কখনো সাময়িকভাবে আমাদের মাঝে দেখা দেয়। যেমন আমরা শুনি কিছু কিছু মানুষ অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। আজ হতে কিছুদিন পর হয়তো আমাদের প্রযুক্তিও মানুষ বা যেকোন জিনিসকে অদৃশ্য করতে পারবে, এটিও প্রমান হবে আমাদের মাঝে বিচরনরত জ্বীন, ভূত বা প্রেত আসলে আর কেউ নয় অতি বুদ্ধিমান প্রানী এই এলিয়ান। সে সময় আমাদের ধর্মীয় পন্ডিতরা এটাই বলবে যে, আমরা পূর্বেইতো বলেছিলাম স্রষ্টা দুটা জাতিই সৃষ্টি করেছে তার দাষত্বের জন্য। সুতারাং আজ আমরা জানলাম আমাদের মাঝে জ্বীন, ভূত বা প্রেত বর্তমান তবে তারা আর কেউ নয় তারাই এলিয়ান বা ভিন গ্রহের প্রানী। কেন তারা এই গ্রহে অবস্থান করছে কি তাদের উদ্দেশ্য কিভাবে তারা এসেছে? এ সম্পর্কিত আরোও অনেক প্রশ্নের উত্তর
আমাদের পরবর্তী আলোচনায় করার অভিপ্রায় রইলো