রাজ মোহিনী তাবিজঃ
এই তাবিজখানা যে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিবে, আল্লাহর রহমতে সেই ব্যাপারে ফল লাভ করিবে। তবে নেক উদ্দেশ্যে হওয়া চাই। মিথ্যা বা অন্যায়ভাবে এই তাবিজের তদবীর করিলে হীতে বিপরীত ফল হইবে। খবরদার আমেল ব্যক্তিকে এ বিষয় নিশ্চিত হইয়া তদবীর করিতে হইবে।
প্রথম প্রকার তদবীরঃ যদি কোন ব্যকিত অন্যায়ভাবে মিথ্যা মকদ্দমায় জড়াইয়া পড়ে, তবে ডালিম গাছের তক্তা বানাইয়া উহার উপর ডালিমের ডাল দিয়া কলম বানাইয়া মেশক জাফরানের কালি দ্বারা উক্ত তক্তার উপর নিম্নোক্ত নকশাখানা লিখিয়া হাকিমের এজলাসের দরজার পর্দায় লটকাইয়া দিলে অথবা সঙ্গে ব্যবহার করিয়া কোর্টে উপস্থিত হইলে আল্লাহর রহমতে মিথ্যা মামলা হইতে রেহাই পাইবে।
দ্বিতীয় প্রকার তদবীরঃ যদি স্বামী স্ত্রী মধ্যে বনীবনা না হয়, যেমন স্বামীর কথা স্ত্রী শুনতে পারে না অথবা স্বামী স্ত্রীকে পছন্দ করে না কিংবা উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগিয়া থাকে। অথবা সুন্দরী স্ত্রী ঘরে থাকিতে তাহার প্রতি নজর না দিয়া অন্য নারীকে নিয়া আমোদ ফূর্তি করে কিংবা বেশ্যালয় যাতায়াত করিয়া থাকে। তবে এই অবস্থায় আমেল ব্যক্তি চল্লিশ দিন পর্যন্ত নিম্নোক্ত তাবিজখানা ডালিমের ডালের কলম দ্বারা কাগজের উপর মেশক জাফরানের কালি দ্বারা লিখিবে এবং তাবিজের নিচে স্বামীর নাম ও তাহার পিতার নাম এবং স্ত্রীর নাম ও তাহার মায়ের নাম লিখিতে হইবে। এবং একটি তাবিজ স্ত্রী সঙ্গে ব্যবহার করিবে। আল্লাহর রহমতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল মহবৎ পয়দা হইবে এবং স্বামী অন্য নারীর নিকট ও বেশ্যালয় যাওয়া বন্ধ করিয়া স্ত্রীর মহব্বতে ফিরিয়া আসিবে।
চতুর্থ প্রকার তদবীরঃ এই তাবিজের নকশাখানা রুপার পাতে খুদিয়া কোন শিশু সন্তানের গলায় বাঁধিয়া দিলে, আল্লাহর রহমতে ঐ শিশু সন্তান যাবতীয় বালা মুছিবত, রোগ ব্যাধি ও জ্বিনের নজর বা মানুষের মুখদোষ ইত্যাদি হইতে রেহাই পাইবে। এবং তাহার দেলে কোন প্রকার ভয়ভীতি থাকিবে না। সে সর্বদা আসানে থাকিবে।
পঞ্চম প্রকার তদবীরঃ যদি কোন ব্যক্তি হাকিমের নিকট যাইতে ভয় পায় অথবা সুবিচার পাইবে না এইমত অবস্থা হয়, তবে ডালিম গাছের ডালের কলম দিয়া মেশক জাফরানের কালি দ্বারা নিম্নোক্ত তাবিজখানা কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া সঙ্গে ব্যবহার করিয়া হাকিমের নিকট উপস্থিত হইলে, আল্লাহর রহমতে তাহার দিল নরম হইয়া যাইবে এবং ন্যায়ভাবে সুবিচার করিবে।
ষষ্ঠ প্রকার তদবীরঃ যদি কোন লোক নিখোঁজ হইয়া যায় বা হারাইয়া যায়। তাহাকে কোন অবস্থায় পাওয়া যাইতেছে না, তখন নিম্নোক্ত তাবিজখানা ডালিম গাছের কলম দ্বারা মেশক জাফরানের কালি দ্বারা কাগজে লিখিয়া তাহার নিচে নিখোঁজ বা হারানো ব্যক্তির নাম লিখিয়া কবজ বানাইয়া মাটির নিচে দাফন করিয়া রাখিবে অথবা পাথরের নিচে তাবিজখানা চাপা দিয়া রাখিবে। আল্লাহর রহমতে তাবিজের বরকাতে অল্প দিনের ভিতরে নিখোঁজ বা হারানো ব্যক্তি ছহি ছালামতে ফিরিয়া আসিবে।
সপ্তম প্রকার তদবীরঃ যদি কাহারও ক্ষেত খামারে কোন জন্তুর বা কীট পতঙ্গের আক্রমণে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হইয়া যায়, তবে উপরোক্ত নিয়মে চারখানা করিয়া তাবিজ গড়িয়া রাখিবে। অথবা চার কোনায় চারটি বাস খাড়া করিয়া কুপিয়া উহার মাথায় তাবিজ লটকাইয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে সর্বপ্রকার ক্ষতি হইতে ক্ষেতের ফসল রক্ষা পাইবে।
অষ্টম প্রকার তদবীরঃ এই রাজমোহিনী তাবিজের গুণাগুণ অত্যাধিক এবং আশ্চর্যজনক। যে কোন রোগব্যধির জন্য বা যে কোন উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য এই তাবিজ উপরোক্ত নিয়মে শিখিয়া সঙ্গে ব্যবহার করিলে, আল্লাহর অপরিসীম রহমতে রোগ-ব্যধি আরোগ্য হইবে এবং যে কোন উদ্দেশ্য সফল হইবে।
রাজ মোহিনী তাবিজের নকশাখানা পেতে এখানে ক্লিক করুন—-