কি করে বুঝবেন অশরীরি উপস্থিতি
আমার ব্যক্তিগত জিবনের বিভিন্ন অভিগ্যতা থেকে বহুবার এ সর্ম্পকিত একটি আলোচনা করার চিন্তা মাথায় এসেছে। কিন্তু কখনই লিখা হয়ে উঠেনি, খানিকটা জেদের বসেই আজ আপনাদের সামনে অশরীরির উপস্থিতি সর্ম্পকে বাস্তবিক কিছু তথ্য তুলে ধরার জন্য লিখতে বসা। আমরা অনেকেই আমাদের নিজস্য কল্পনার দুনিয়ায় অশরীরি সর্ম্পকে এক্সপ্লেইন তৈরি করি। আমাদের অবচেতন মনে কিছুটা ভয়, শঙ্কা বা প্রশ্ন সকল সময়েই ঘুরপাক খায়। আমাদের মাঝে একশ্রেনীর ব্যক্তি আছে যারা নিজেদের বাস্তববাদি বলে পরিচয় দেয়, সে সকল লোকেরা অবশ্য অশরীরিকে একটি ফেইক বা কাল্পনিক গল্প মনে করে। এদের কথা বাদ দিলে, সংখ্যাগরিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আলোচনা।
আমরা কোনো ব্যক্তিকে দেখে বা স্থানে গিয়ে কিভাবে বুঝবো অশরীরি উপস্থিতি?
একটি কথা আমরা জানি, কোন কবরস্থান বা শ্বশানে সাধারন ভাবে কোন আত্না বা প্রেত আত্মা স্থায়ী ভাবে থাকেনা। কিন্তু এটিও সত্য এসকল স্থানে দিন/মাস/বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময় আত্মা বা প্রেত আত্মা এ সকল স্থানে বিচরন করে। এটি বোঝার সবচাইতে সহজ উপায় যদি কখন দেখেন, শ্বশান বা কবরস্থানের এলাকা প্রানী বা পশু-পাখি শূন্য হয়ে গেছে, আপনি নিজে সেখানে গিয়ে দাড়ালে শরীর ভার ভার বোধ হয় তবেই তাদের অবস্থান নিশ্চিত। তেমনি ভাবে যেকোন খালি বাড়ি অন্ধকার স্থান পরিত্যক্ত স্থান বড় পুরনো গাছের মূলে দাড়ালে কোন কারন ছাড়াই যদি আপনার শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, শরীরের লোম শিহরীত হয়, হঠাৎ ঠান্ডা বা গরম অনুভূত হয়, আচমকা কোন পাশ থেকে বাতাস শরীরে লাগে, তারা না খেয়ে কোন প্রানী যদি আপনাকে দেখে পালিয়ে যায়, বৈদ্যুতিক বাতি অকারনে জ্বলতে নিভতে থাকে, আপনার যদি মনে হয় কেউ আপনার একজন পিছনে রয়েছে বা কেউ আপনাকে লক্ষ্য করছে, কুকুর/শেয়াল/মুরোগ/কাক ইত্যাদি প্রানী হঠাৎ’ই ডাকতে থাকে, এক রঙ্গা (কালো বা লাল) কুকুর বিড়াল সামনে চলে আসে, চেয়ার বা খাটে বসা অবস্থায় ভূমিকম্প বা কম্পন অনুভব করলে, অন্যমনোষ্ক অবস্থায় কেউ আপনাকে ডাকছে মনে হলে, শরীরে কারো স্পর্শ অনুভব করলে, আয়না দেখে সরে যাওয়ার সময় অন্য কারো প্রতিচ্ছবির আভাস হলে, কোন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র আকষ্মিক ভূতুরে আচরন করলে, কোন গাছের ডাল বা বাঁশ অপ্রাসঙ্গিকভাবে কোন দিকে হেলে থাকলে, এমনি আরও কিছু উপসর্গের মাঝে যেকোন একটি দুটি উপসর্গ দেখলেই বুঝতে হবে সেখানে অবশ্যই অশরীরি উপস্থিতি রয়েছে।
আজকে একটি মজার একটি কথা আপনাদের বলবো, কোন আত্মা বা প্রেত-আত্মা জ্বিন ভূত অর্থাৎ সকল প্রকার অশরীরির পক্ষ্যেই আপনার চুল পরিমান শারীরিক ক্ষতি করার ক্ষমতা নেই। তাদের সর্ব্বচ্য ক্ষমতা আপনার উপর ভর করে অন্যের ক্ষতি সাধন করা। সেটিও করে থাকে প্রতিশোধ পরায়ন অতৃপ্ত আত্মা। সুতারাং আমাদের কাহারই জ্বিন ভূত প্রেত আত্মা ইত্যাদিতে ভয় পাবার কিছু নেই। যদি না পরোক্ষ্যভাবে আমরা কারো মৃত্যুর জন্য দায়ী না হয়ে থাকি।