আধ্যাত্মিক শক্তি উন্মোচন
সকলেই বলে থাকে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু আর দশটা বিষয়ের মতোই এটিও আমরা শুধু মুখেই বলে থাকি। আমরা নিজেরাও তা অন্তরে বিশ্বাস করি না। অন্যকিছু বাদ দিন, শুধু যদি আমরা অন্তরেই এই চির সত্য কথাটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে পারি তবে আমাদের আত্মশক্তির বলে অনেক বাস্তব সমস্যাকেই অনায়েশে দূর করতে পারি। আমরা কখনো ভাবি না আমাদের জন্মান্তর সর্ম্পকে, কেন কোথা থেকে কিভাবে আমাদের এই ভূ-মন্ডলে অবতার হলো। একটু ভাবুন, শত’কোটি শুক্রানুর সাথে অলেম্পিক রেসে অংশগ্রহন করে আপনি জয়ী, একজন সুপার হিরোর মতো একাই শত’কোটি শুক্রানুর সাথে যুদ্ধ করে সর্ম্পূন্য অক্ষতভাবে আপনি জয়ী, লক্ষ লক্ষ মাইল পথ একাই পাড়ী দিয়ে অভেদ্য প্রাচীর স্বীয় ক্ষমতায় ভেদ করে আপন অস্তিত্যকে টিকিয়ে রেখেছেন। একাধিক্রমে জলীয়দ্রবন রক্তপুঁচ খেয়ে বেঁচে থেকেছেন দশটি মাস।
এর পরও কেন আমাদের বোধদয় হয়না। আমরা মানুষ নিজ বুদ্ধি বলে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করছি আশ্চার্য্য সব যন্ত্রপাতি। ডানাবিহিন উড়ে বেড়াচ্ছি খোলা আকাশে, তারবিহিন কথা বলছি যোজন দূরের কোন ব্যক্তির সাথে, পৃথিবীর আনাচে কানাচে কোথায় কি হচ্ছে সকল কিছু দেখতে পাচ্ছি বিছানায় শুয়ে থেকে। অথচ যে প্রকৃতি বা স্রষ্টা এতো আশ্চার্য্য সুন্দর এই মানুষ সৃষ্টি করেছে, তার নিজ ক্ষমতা সর্ম্পক্যে অজ্ঞ্যাত।
প্রতিটি মানুষের রয়েছে নিজস্ব কিছু কোড,তার নিজস্ব আইডিন্টিফিকেশন। যেমন ধর্মানুসারে স্রষ্টার নিজস্ব কিছু নাম রয়েছে, মুসলিমরা যাকে ”ইসমে আজম” আখ্যায়িত করে, বলা হয়ে থাকে এই নামে তাকে ডাকলে সঙ্গে সঙ্গেই স্রষ্টা বান্দার ডাকে সাড়া দেয়। ঠিক তেমনি মানুষের আইডিন্টিফিকেশন কোডে তাকে ডাকা হলে সে যেখানে যে অবস্থায় যত দূরে অবস্থান করুক না কেনো সঙ্গে সঙ্গেই সে সাড়া দিবেই। যেমন আপনার মোবাইল নাম্বারটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই প্রযোজ্য যে কেহ’ই সে নাম্বারে কল দিক না কেনো আপনি সেটি রিসিভ্ করবেন।
আমরা আমাদের এই পর্বের আলোচনা গুলোতে, প্রতিটি মানুষের কোড ও তার ডায়াল নাম্বার কিভাবে বের করবো, কিভাবে ডায়াল করবো, নিজ প্রয়োজনে কোন প্রকার প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া একে অপরকে কোন তথ্য বা সংবাদ আদান প্রদান করবো। আমাদের সামনে প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট দূর্যোগ দূর্ঘটনা আসার পূর্বেই তা সর্ম্পক্যে অবহিত হবো, সেসকল বিষয়ে পুঙ্খানু পুঙ্খানু ভাবে জানবো।