সর্ব বশীকরণ প্রয়োগ
আমাদের সমাজ জিবনে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা, সর্ম্পক্যের মাঝে স্বদভাব রাখা প্রায় দুষ্কর। বিশেষ করে যদি দুজনের সর্ম্পক্যের মাঝে তৃতীয় পক্ষ্যের কেউ অনুপ্রবেশ করে। আমাদের সবার উচিৎ যদি কোন কারনে দুজনের সর্ম্পক্যের মাঝে চির ধরে তবে শুরুতেই নিজেদের ইগো, আত্ম অভিমান, অহম বোধ দূরে ঠেলে দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা নতুবা এমন হতে পারে, সামান্য অভিমান থেকে দূরুত্ব তৈরির ফলে সারাটি জিবন সেই মানুষটির জন্য অশ্রু বির্সজন করতে হয়। তবে যদি সেই অনাকাঙ্খীত ভুলটি আমাদের দ্বারা হয়েই যায় এবং আলোচনার আর কোন সুযোগ না থাকে তবে অবশ্যই কোন ভালো তান্ত্রীকের স্বরনাপন্ন হয়ে তার অনুমতি সাপেক্ষ্যে নিম্নের তদবীর গুলো করলে আকাঙ্খীত ব্যক্তিকে পুনরায় ফিরে পেতে পারবেন। যদি আপনাদের আশে পাশে এমন কোন তান্ত্রীক খুজে না পান তবে আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
সামগ্রী- মন্ত্রসিদ্ধ চৈতন্য সিয়ার সিঙ্গি, তৈলপ্রদীপ, আসল সিন্দুর, লোবান।
মালা- মুঁগার মালা।
দিন- শনিবার।
সময়- রাত্রি।
আসন- লাল রঙের আসন।
দিক- পশ্চিম।
জপ সংখ্যা- রোজ ২১০০ বার।
অবধি- সাত দিন।
মন্ত্র- “ওঁ হাং গং জুং সঃ (অমুক) মে বশ্য বশ্য স্বাহা”
প্রযোগ- এই প্রয়োগ সম্পর্ণ করার জন্য কোন শনিবার পশ্চিমদিকে মুখ করে লাল আসনে বসতে হবে। এবার মন্ত্রসিদ্ধ শিয়ালের চামড়া স্থাপন করে মুঁগার মালা দিয়ে রোজ ২১ মালা উপরোক্ত মন্ত্র সাতদিন জপ করতে হবে। এতে ঐ সিয়ার সিঙ্গি সিদ্ধ হয়ে যাবে। মন্ত্র উচ্চারনের সময় ‘অমুক’ শব্দটি উচ্চারন করতে হবেনা। মন্ত্রসিদ্ধ হবার পর যাকে বশ করার দরকার ‘অমুক’র স্থানে তার নাম বলতে হবে।
সিদ্ধ হবার পর উক্ত সিয়ার সিঙ্গিকে নিজের পকেটে রেখে যাকে বশ করা দরকার তার সামনে দাড়িয়ে কেবল সাত বার মনে মনে মন্ত্র উচ্চারন করলে সামনের ব্যক্তি পূর্ণরুপে বশীভূত হবে ও তার অনুকূল কার্য করবে।
যদি সাধক প্রয়োজন মনে করে তো এলাচ, লবঙ্গ, সুপারি ইত্যদির কোনো একটি বস্তুর উপর উক্ত অভিমন্ত্রিত সিয়ার সিঙ্গি রেখে সাত বার মন্ত্র জপ করে উক্ত বস্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খাইয়ে দেয় তবে সে বশীভূত হয়।
সিয়ার সিঙ্গি জলে ডুবিয়ে রেখে ঐ জল যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খাইয়ে দেয় তাহলে সে বশীভূত হয়। সর্ব বশীকরণের জন্য এটা একটা শক্তিশালী প্রয়োগ।